এম এ হালিম,সাভার: [২] সাভারের জোরপুল এলাকায়  ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে   মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

[৩] নিহতদের মধ্যে একজনের নাম ইকবাল হোসেন। তিনি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়া অপরজনের নাম মো. নজরুল ইসলাম। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

[৪] সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে  তেলবাহী লরি ঢাকার দিক থেকে সাভারের  দিকে যাচ্ছিল। লরিটি ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সাভারের জোরপুল এলাকায় পৌঁছালে ওই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ইউটার্ন বানাকে সড়কের ওপর রাখা বোল্ডারের সঙ্গে ধাক্কা খায় । এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে উল্টে যায় লরি। উল্টে যাওয়ার পরপরই তেলবাহী লরিতে আগুনে লেগে যায়। লরির আগুন একইমুখী একটি ক্যাভার্ড ভ্যান, দুটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেট কারেও ধরে যায়। আগুনে ঘটনাস্থলে একজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। 

[৫] সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাময়িক দায়িত্ব) বাবুল আক্তার  বলেন, স্থানীয়রা আগুন লাগার পরপরই দগ্ধদের উদ্ধার করে তাদের সড়কে পাশে নিয়ে যান। এ দুর্ঘটনার পর ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।    

[৬] সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের জেষ্ঠ্য স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, দগ্ধদের প্রথমে  প্রথমে সাভার উপেজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

[৭] তিনি আরো বলেন-  ঘটনাস্থলের আশপাশে পানির উৎস  না থাকায় আগুন নির্বাপণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এরপরও ৬টি ইউনিটের মাধ্যমে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুণ নির্বাপণ করা হয়।

[৮] ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আবাসিক চিকিৎসক  তরিকুল ইসলাম জানান, আগুনে দগ্ধ ৯ জনকে আনা হয়েছে। এরমধ্যে নজরুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তর শরীরের শতভাগ পুড়ে গেছে।

[৯] এছাড়া আগুনে দগ্ধ মিলন মোল্লার  শরীরের ৪৫ শতাংশ, মিমের (১০) ২০ শতাংশ, আল-আমিনের ১০ শতাংশ, নিরঞ্জনের ৮ শতাংশ, হেলালের শতভাগ, আব্দুস সালামের ৫ শতাংশ, সাকিবের শতভাগ ও আল আমিনের ১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।  সম্পাদনা : মুরাদ হাসান,সমর চক্রবর্তী